ঢাকায় ৩০০ কেন্দ্র করে দেয়া হবে করোনার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বণিক বার্তা অনলাইন

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমদানি করা করোনাভাইরাসের টিকা দানের জন্য রাজধানী ঢাকায় ৩০০টি কেন্দ্র করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ঢুকবে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা। এরই মধ্যে এই টিকা আমদানির জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেরামের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সরকার। আগে থেকেই জানানো হচ্ছে এ মাসের মধ্যেই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। সে কথারই পুনরাবৃত্তি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ২৫ বা ২৬ জানুয়ারি দেশে সিরামের ভ্যাকসিনের প্রথম চালানটি আসবে। এর এক সপ্তাহ পরেই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ঢাকায় তিনশ’র মতো ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র এবং ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দেশে সফলভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চিঠি দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী সরকারের নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের মাত্র একটি করোনা পরীক্ষার ল্যাব ছিল, বর্তমানে ২০০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী লকডাউন থাকায় পিপিই সংকট ছিল। বর্তমানে আমরা পিপিই রফতানি করছি। সকল কিছু অজানা থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি সাত ধাপে পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে আমাদের কিছু ঘাটতি থাকলেও অব্যবস্থাপনা ছিল না। তবে বেসরকারিভাবে কিছু অনিয়ম হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। একথা ওষুধের গায়ে লেখাও থাকে। টিকা দেয়ার পর কোনো সমস্যা হলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্যই টিকাদানের কেন্দ্র হিসেবে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন