বগুড়ার তুফান সরকার জামিন পেলেন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ায় ভালো কলেজে ভর্তি ও বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন।

গতকাল রবিবার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক একে এম ফজলুল হক এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মোন্নাফ, নুরুস সালাম ও রবিউল ইসলাম।

আইনজীবী আবদুল মোন্নাফ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারাধীন থাকা মামলায় তার মক্কেল তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি নরেশ মুখার্জি বলেন, রবিবার ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তুফান সরকারের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাকে জামিন দিয়েছেন।

নরেশ মুখার্জি আরও বলেন, মামলার প্রধান সাক্ষী বাদী নিজেই। এছাড়া ভিকটিম মেয়েটিও মামলার অন্যতম সাক্ষী। রবিবার প্রধান আসামির জামিন শুনানির আগে মামলার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 

নরেশ চন্দ্র বলেন, তুফান সরকার মামলার পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রয়েছে। 

বগুড়ার জেল সুপার মনির আহম্মেদ জানান, তুফান সরকারের জামিন হয়েছে শুনেছি। কিন্তু আরো মামলা থাকায় আপাতত হাজতে রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ওই কিশোরীকে (১৭) ভালো কলেজে ভর্তি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তুফান। পরে এই ঘটনায় বিচার চাইতে গেলে বিচারের নামে মেয়ে ও তার মাকে কৌশলে নির্যাতনের এক পর্যায়ে নাপিত ডেকে এনে তাদের দুজনের মাথার চুল কেটে দেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণ এবং মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন