বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

বণিক বার্তা অনলাইন

বাংলাদেশ গত ১২ বছরে ফিন্যান্সিয়াল প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ইন্টারঅপারেবিলিটি চালু হওয়ার পর সামনের দিনে বিদ্যমান এই অবস্থা আরও উন্নত হবে। সামনের দিন হবে ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিন।

গতকাল রবিবার ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কম্পিউটারকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘দারিদ্র বিমোচনে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি বলেন, ১২ বছরে বাংলাদেশ যে পথ অতিক্রম করেছে তার ধারাবাহিকতায় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলার আর কোন সুযোগ নেই।

আইইবি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি'র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আইইবি'র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, আইইবি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, আইইবি'র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন বক্তৃতা করেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন এবং আইইবি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় কুমার নাথ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পুঁজি শিল্পায়ন নিয়ন্ত্রণ করবে না। যারা উদ্ভাবক, মেধাবী ও সৃজনশীল সামনের দিনে তারাই হবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। উন্নয়ন ও গবেষণা ছাড়া শিল্প ও বাণিজ্যে কেউ টিকতে পারবে না।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রচলিত জীবন ধারা থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা উদ্ভাবক তারাই হবেন সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক। ৫জি প্রযুক্তি হবে শিল্পের প্রয়োজনে। পুকুরে আইওটি ডিভাইস বলে দেবে মাছের খাদ্যের চাহিদা কিংবা ফসলের জমিতে কি সার কখন কতটুকু দিতে হবে কখন সেচের প্রয়োজন হবে ৫জি সেই কাজটি করবে।

তিনি বাঙালি জাতিকে ভাগ্যবান আখ্যায়িত করে বলেন, একজন বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ দিয়েছেন এবং একজন শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় কোভিডকালে স্বাভাবিক জীবনধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি যা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কোন অংশেও পিছিয়ে নেই।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যখন চালকবিহীন গাড়ি থাকবে কিংবা কর্মীহীন পোশাক শিল্প চলবে সে অবস্থায় আমাদের ভয়ের কিছু নেই। বর্তমান প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে বড় হবে। শতকরা ৬৫ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল দক্ষতায় গড়ে তুলতে পারলে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম।

মোস্তাফা জব্বার আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সাধারণের বোধগম্য ভাষায় এসএমএসসহ অন্যান্য যোগাযোগ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের দিন শেষ হয়ে গেছে। প্রযুক্তি এখন সব ভাষায় কথা বলতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন