‘এ’ ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারকে বিদ্যমান এন থেকে ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৫ টাকা ৮৭ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৬১ টাকা ৯২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ) ১৫৮ টাকা ৩৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া), আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল যথাক্রমে ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওয়ালটনের ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭৮ টাকা ৪৮ পয়সা, পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ১৭৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ট্রিপল স্বল্পমেয়াদে এসটি-ওয়ান ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানির নিরীক্ষিত চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করে। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিএমআরই, ৩৩ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধ সাড়ে কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে ওয়ালটন।

ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল হাজার ৫৮ টাকা ২০ পয়সা। লেনদেন শুরুর পর পর্যন্ত শেয়ারটির দর ৩৭৮ টাকা থেকে হাজার ১৯৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৯৯ দশমিক শূন্য শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪২ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন