দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। পুরস্কারটি হাতে পাওয়ার জন্য প্রতি বছর অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন বিজয়ীরা। গতকাল অনুষ্ঠিত হলো ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসেছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদানের আসর। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব খাজা মিয়া। এছাড়া চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এবার ২৬টি শাখায় এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। গত বছর ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ছয়টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে জুরি বোর্ড। এর সঙ্গে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দাকে আজীবন সম্মাননায় অভিষিক্ত করা হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্যের পর সোহেল রানা ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন অভিনেত্রী, মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ, ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল ধৃতি নর্তনালয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গানের সঙ্গে পারফর্ম করেন ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, সাইমন ও নুসরাত ফারিয়া। সংগীত পরিবেশন করেন অলোক সেন, অপু আমান, লিজা ও লুইপা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা ও অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন।
১৯৭৬ সালের ৪ এপ্রিল প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়। ২০০৯ সালে চালু করা হয় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ পেয়েছেন যারা
- আজীবন সম্মাননা: মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দা
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়
- শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন
- শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিল অন্ধকারে
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে: সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়)।
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে: নারগিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।
(ন ডরাই)।
(মায়া দ্য লস্ট মাদার)।