বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বিষয়ে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ: অপরচুনিটি ফর এক্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড অব এগ্রি প্রডাক্টস কোয়ালিটি অ্যান্ড সার্টিফিকেশন শীর্ষক এক ভার্চুয়াল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী . মো. আব্দুর রাজ্জাক। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার কর্মশালায় যুক্ত ছিলেন।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের হেড অব মিশন কনস্টানজা জারিঙ্গার, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের রিজিওনাল ডিরেক্টর . জেনস অয়েডিং, গ্লোবাল ডিএএপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) . ক্রিস্টেইন মোলার এবং ইউএসএআইডির অনিরুদ্ধ রায়, বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিইও রাষ্ট্রদূত সাহেদ আখতার, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহিল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ আমিনুল হকসহ জার্মান বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠনের নেতারা।

কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানি এবং জার্মান এগ্রি বিজনেস অ্যালায়েন্সকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইউরোপের প্রথম স্বীকৃতিদানকারী রাষ্ট্র। ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতেই বাংলাদেশের রফতানি সবচেয়ে বেশি।

রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশে উচ্চফলনশীল খাদ্যশস্য নানা জাতীয় সবজি উত্পন্ন হয়। এছাড়া বাংলাদেশের আম, আনারস, লিচু ইত্যাদি ফল খুব সুস্বাদু। ইউরোপের বাজারে প্রাপ্ত জাতীয় ফলের তুলনায় বাংলাদেশের ফল উন্নতমানের। বাংলাদেশের ফল সবজি জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। তবে এসব দেশে রফতানি করতে হলে দ্রব্যের মান সার্টিফিকেশন সঠিক হতে হবে। ব্যাপারে বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যাসোসিয়েশন গ্লোবাল গ্যাপের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে পারে। ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিন সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন