লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঝালাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।
আবুল কালাম পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী (পকেট) এলাকার জয়নালু হকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আজ শুক্রবার বিকালে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঝালাঙ্গী সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৬-৭ নম্বরের কাছ দিয়ে আবুল কালামসহ ৪/৫ জন বাংলাদেশী গরু আনতে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সীমান্তে যান। ভারতীয় কোচবিহার-১৪০ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসেন। পরে তার অপর সঙ্গীরা তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। পাটগ্রাম থানা পুলিশ আবুল কালামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবুল কালাম নিহতের ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২২) গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। গত ১ মাস ৫ দিনের ব্যবধানে ওই ইউনিয়নে আবুল কালামসহ ৩ বাংলাদেশী বিএসএফের গুলিতে নিহত হলেন। গত ১০ ডিসেম্বর আবু তালেব (৩২) নামে অপর এক গরু পারাপারকারী বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।