হোয়াইট হাউজ

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিক গুরুত্বপূর্ণ পদে

বণিক বার্তা ডেস্ক

আর কয়েকদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। এরই মধ্যে নিজের প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি হোয়াইট হাউজের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্যও যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিককে বেছে নিয়েছেন তিনি। খবর পিটিআই।

বুধবার ঊর্ধ্বতন পদগুলো সামলানোর জন্য বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করে জো বাইডেনের ট্রানজিশন টিম। এর মধ্যে হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে জাইন সিদ্দিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন জো বাইডেন প্রশাসনে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিসেবে ঊর্ধ্বতন কোনো পদে আসছেন জাইন সিদ্দিক।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিকের বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ইয়েল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা জাইন বর্তমানে বাইডেন-হ্যারিস ট্রানজিশনের ডোমেস্টিক অ্যান্ড ইকোনমিক টিমের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্বরত। নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের প্রিপারেশন টিমেরও সদস্য ছিলেন তিনি। তার আগে তিনি সাম্প্রতিক নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার নমিনেশনের লড়াইয়ে নামা বেতো রৌকের প্রচারণা শিবিরের ডেপুটি পলিসি ডিরেক্টর তার সিনেট ক্যাম্পেইনের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন।

এছাড়া মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এলেনা কাগান, ডিসি সার্কিটের আপিল আদালতের বিচারক ডেভিড ট্যাটেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়ার বিচারক ডিন প্রেগেরসনের অধীনে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেছেন জাইন সিদ্দিক। পাশাপাশি ওরিক হেরিংটন অ্যান্ড সাটক্লিফ এলএলপির একজন অ্যাসোসিয়েট হিসেবে আইন পেশার চর্চাও চালিয়ে গেছেন তিনি।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রশাসন সাজানোর চেষ্টা করছেন। লক্ষ্যে তিনি কাউন্সেলর টু দ্য প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে জন ম্যাকার্থি, ডেপুটি চিফ অব স্টাফের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে থমাস উইনস্লো, ডিরেক্টর অব প্রেসিডেনশিয়াল শিডিউলিং হিসেবে লিসা কোহঙ্কে, অফিস অব দ্য ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সারাহ ফেল্ডম্যান, চিফ ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন ডিরেক্টর হিসেবে মাইকেল লিচ, ডেপুটি ডিরেক্টর অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর পারসোনেল হিসেবে ক্রিস্টিয়ান পিলে কভিড-১৯ অপারেশনসের পরিচালক হিসেবে জেফ্রেই ওয়েক্সলারকে বেছে নিয়েছেন।

ট্রানজিশন টিম বলছে, যাদের নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা সবাই যোগ্যতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ। বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউজের দৈনন্দিন কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজের সম্পৃক্ততা আরো বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেছেন, আমাদের দেশকে যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তা মোকাবেলা এবং সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে আমাদের অবশ্যই এমন প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে, যেখানে থাকবেন অভিজ্ঞ, ন্যায় বোধসম্পন্ন নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তারা।

নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও আশা করছেন, নবনিযুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন