বেক্সিমকোকে সেরা গ্রাহক হিসেবে পুরস্কৃত করল জনতা ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদায়ী বছরে জনতা ব্যাংকের রফতানি বাণিজ্যের ৬৬ শতাংশই হয়েছে লোকাল অফিসের মাধ্যমে। আর শাখাটির রফতানি বাণিজ্যের ৭৬ শতাংশ জোগান দিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। পাশাপাশি মহামারীর মধ্যেও ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করেছে গ্রুপটি। সব মিলিয়ে জনতা ব্যাংকের দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো গ্রাহক হলো বেক্সিমকো। এজন্য গ্রুপটিকে সেরা গ্রাহকের সম্মাননা জানিয়েছে জনতা ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেক্সিমকোর কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শীর্ষ নির্বাহী মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নাভেদ হোসেনের হাতে ক্রেস্ট সম্মাননাপত্র তুলে দেন। ২০২০ সালে সর্বোচ্চ রফতানি এবং সর্বাধিক মুনাফা প্রদানকারী গ্রাহক হিসেবে ব্যাংকটির ৬৪৮তম পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপকে সম্মাননা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর ওসমান কায়সার চৌধুরী, চিফ অপারেশন অফিসার অনিল কুমার মহেশ্বরী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোস্তফা জামানুল বাহার, এমএস খান শাকিল এবং হেড অব ব্যাংকিং মো. মাসুম মিয়া এবং জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, মো. জিকরুল হক, মো. জসিম উদ্দিন, মো. আমিরুল হাসানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (টেক্সটাইল) সৈয়দ নাভিদ হোসেন বলেন, করোনায় আমাদের অন্যান্য ব্যবসা কমলেও পিপিই উৎপাদন, বিপণন রফতানি বেড়েছে অনেক গুণ। আমরা চিকিৎসা উপকরণ ঘিরে নতুন পরিকল্পনায় এগোচ্ছি। তিনি বলেন, সব উদ্যোক্তার জন্যই ২০২১ সালে টিকে থাকাটা কঠিন হবে। কঠিন সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছে বেক্সিমকো। সেরা গ্রাহক হিসেবে সম্মাননা দেয়ার জন্য জনতা ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি রফতানি আয় অর্জনে বেক্সিমকো গ্রুপ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। গ্রুপটির সঙ্গে আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল দুই দশকেরও আগে। বেক্সিমকো সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ রফতানি করছে। বেক্সিমকোর ২৮টি কোম্পানিতে ৬৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপটির অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে পেরে জনতা ব্যাংক পরিবার গর্বিত।

মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, করোনার মধ্যে যেকোনো গ্রাহক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে ঋণমান অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেটাকে ব্যাংকের ভাষায় বলা হয় ডেফারেল সুবিধা। অন্য কোম্পানিগুলো সুবিধা নিলেও বেক্সিমকো ডেফারেল সুবিধা নেয়নি। ঋণের প্রতিটি কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করে গেছে গ্রুপটি। ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ২০০ কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক, যা বেক্সিমকোর সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রকৃত অর্থেই জনতার ব্যাংকে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৩টি প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংকের গ্রাহক। ২০২০ সালে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের রফতানির পরিমাণ ছিল হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে হাজার ৩২৭ কোটি টাকা রফতানি হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। গত বছর ব্যাংকটি বেক্সিমকো গ্রুপ থেকেই আয় করেছে ৪৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুনর্গঠিত পুনঃতফসিল করা ঋণের কিস্তি বাবদ ৪২৭ কোটি টাকা আয় করেছে ব্যাংকটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন