দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৮৯০ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে ১৫ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৮৯০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯১০ জনে। গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার নয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ ছিল।
গতকাল পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৩টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ লাখ ২৩ হাজার ২৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে ৮৪১ জন রোগী বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২২ জনে। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জন করোনা রোগীর মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও আটজন নারী। তাদের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব এবং চারজন ছিলেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। মৃতদের ১০ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে দুজন খুলনা ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দৈনিক মৃতদের মধ্যে সাধারণত পুরুষদের সংখ্যা বেশি থাকলেও গতকাল নারীদের সংখ্যাটি বেশি ছিল বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮৩৩ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৪৩ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৯০ জন নারী।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে ২৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষের। এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও ব্রাজিল। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। এ তালিকায় শীর্ষ তিনটি অবস্থানে থাকা দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারত।
উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ কোটি ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার।