এসএমডব্লিউ-ফাইভ সাবমেরিন কেবল

আংশিক ক্যাপাসিটি সৌদি টেলিকমকে দেবে বিএসসিসিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এসএমডব্লিউ-ফাইভ সাবমেরিন কেবলের কোর কেবলের পশ্চিম অংশে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩.১০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটি থেকে সৌদি আরবের ইয়ানবু থেকে ফ্রান্সের মার্সেই পিওপি পর্যন্ত ১০০ জিবিপিএসের সমপরিমাণ ক্যাপাসিটি সৌদি টেলিকমের কাছে হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছে। বিএসসিসিএল সৌদি টেলিকমের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর সাপেক্ষে হস্তান্তর সম্পন্ন হবে।

এককালীন ৩৬ লাখ ডলার মূল্যে ক্যাপাসিটি হস্তান্তর করবে বিএসসিসিএল। হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ার পর উল্লিখিত ক্যাপাসিটির পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় সৌদি টেলিকমকে বহন করতে হবে। ফলে ক্যাপাসিটির জন্য বিএসসিসিএলকে আর ব্যয় করতে হবে না। এতে এসএমডব্লিউ-ফাইভ সাবমেরিন কেবলের পেছনে বিএসসিসিএলের পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আনুপাতিক হারে কমে যাবে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিএসসিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৯৪ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসিসিএল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৮ টাকা ৭৪ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসসিসিএল। ২০১৮ হিসাব বছরে  শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১৮০ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা ১৮৯ টাকা ৭০ পয়সা।

সরকারের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো কোম্পানিটি ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৪৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৫৮, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭২ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৩১ দশমিক , হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২২ দশমিক ৪৪।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন