১৮ জানুয়ারি খুলছে দিল্লির স্কুল, উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়

বণিক বার্তা অনলাইন

বোর্ড পরীক্ষাকে সামনে রেখে দিল্লির সব স্কুলকে আগামী সোমবার (১৮​ ​জানুয়ারি) ফের খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় খোলা হবে।  এছাড়া স্কুলে শিক্ষার্থীদের রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা রাখা হলেও উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার।

এ ব্যাপারে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া সাংবাদিকদের বলেন, অভিভাবকরা অনুমতি দিলেই কেবল শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারবে।  বাচ্চাদের আসতে বাধ্য করা হবে না... ১৮ জানুয়ারি থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ব্যবহারিক, প্রজেক্ট, কাউন্সেলিং ইত্যাদির জন্য স্কুল খোলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় প্রধানকে অবশ্যই ব্যবহারিক অনুশীলন, প্রাক বোর্ড পরীক্ষা সম্পর্কিত একাডেমিক কার্যক্রম, প্রজেক্ট ইত্যাদির জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

আগামী ৪ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (সিবিএসই) অধীন বোর্ড পরীক্ষা।  বেশিরভাগ সিলেবাস শেষ হয়ে গেলেও, দিল্লির শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতার জন্য শিক্ষকরা যাতে তাদের মধ্যকার সংশয় ও সমস্যাগুলো দূর করতে পারেন সে লক্ষ্যেই ফের স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, সমস্ত অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এই সময়ের মধ্যে করা এবং যথাযথ রেকর্ড রাখতে হবে যাতে সিবিএসই ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত মূল্যায়ন আপলোড করা যায়। সেই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নপত্রে যথাযথ পরিবর্তন আনয়নের দিকে মনোযোগ দেয়া এবং পর্যাপ্ত ‘লিখিত অনুশীলন’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া স্কুলে করোনাভাইরাস মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজেশনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জোরালোভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

তবে যারা অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত তা প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

গত বছর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভারতজুড়ে বিদ্যালয় বন্ধের ফলে বোর্ড পরীক্ষাগুলো ব্যাহত হয়, যা পরে জুনে শেষ হয়।  দিল্লিতে ভাইরাস সংক্রমণ ভয়ানকভাবে আঘাত হানায় তখন থেকেই বিদ্যালয়গুলো বন্ধ এবং অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তারপরও দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রমে যথেষ্ট কাটছাট করতে হয়েছে। 

সূত্র: এনডিটিভি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন