শেয়ার বেচবেন ইন্দো-বাংলা ফার্মার উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা মো. বেলাল খান স্টক লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া লাখ ৯১ হাজার ৮৫১টি শেয়ার বিক্রি করে দেবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ব্লক মার্কেটে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে কোম্পানিটির মোট ৩৭ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের দশমিক শতাংশ নগদ এবং সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারকে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৪৪ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৪০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য , বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডার আইসিবিকে শতাংশ নগদ এবং সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারকে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে গতকাল ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৯ টাকা ৭০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা ২৬ টাকা ৫০ পয়সা।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৪ দশমিক ২৩, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১৪ দশমিক ৩৪।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন