‘ফায়েদাবাদ টু-লেট’ প্রদর্শনীর দ্বিতীয় পর্ব চলতি বছর

ফিচার প্রতিবেদক

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ফায়েদাবাদ এলাকায় অস্ট্রেলীয়-বাংলাদেশী শিল্পী চলচ্চিত্র নির্মাতা ওমর চৌধুরীর একক শিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ফায়েদাবাদ টু-লেট শীর্ষক প্রদর্শনীতে শিল্পী দেশের প্রেক্ষাপটে সমাজ স্থাপনা শিল্পের আধুনিকতাবাদী ধারণা অন্বেষণকারী একটি অভিনয় শিল্প পরিবেশনের রচনা নির্দেশনা দেন। প্রদর্শনীটির আয়োজন করে কিউরেটরিয়াল কালেক্টিভ কে বা কাহারা সুইজারল্যান্ড সরকারের সুইস আর্টস কাউন্সিল প্রো হেলভেশিয়ার সহযোগিতায় কে বা কাহারার সদস্যরা নতুন পারফরম্যান্সের বিকাশ, প্রযোজনা প্রদর্শনীর আয়োজনটি করে।

ফায়েদাবাদ টু-লেট প্রদর্শনী নিয়ে শিল্পী ওমর চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আধুনিকতাবাদী স্থাপনা শিল্প ইতিহাসে মনোভঙ্গ/মেলানকোলির একটি রেশ রয়েছে, যা সবসময় কৌতূহল জাগায়। আধুনিকতাবাদ নন্দনদৃষ্টি এবং প্রক্রিয়াগুলোর আমদানি প্রয়োগ আমাদের সাংস্কৃতিক সামাজিক কাঠামোতে যে বিপুল প্রভাব বিস্তার করে তা বলা বাহুল্য। কিন্তু তার পরও আমাদের মধ্যে এক ধরনের নস্টালজিয়া, এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা কাজ করে। কে বা কাহারা দলসহ আমরা সবাই বুঝতে চাচ্ছিলাম কিছু কল্পকাহিনী হাজির করালে স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের সূক্ষ্ম স্থাপনাকর্মের মূল কাঠামো এবং সেই কাঠামোর ইতিবৃত্তের সঙ্গে মিশ্রিত হলে কেমন আবহ তৈরি হতে পারে। আমাদের প্রশ্নের প্রথম অন্বেষণ ছিল এই প্রদর্শনী, যেখানে আমরা গোটা বিষয়টাকে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সুনির্দেশিত আত্মসচেতন কল্পকাহিনী বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি’—ওমর চৌধুরী যোগ করেন। পারফরম্যান্সে অভিনয় করেছেন কাজী রুক্সানা রুমা, টুকু মজনিউল, তানিয়া, রাসেল চৌধুরী রাসেল পারভেজ।


ডিসেম্বরের প্রদর্শনী ছিল দুই ভাগে বিভক্ত একটি সাইট-স্পেসিফিক পারফরম্যান্সের প্রথম অধ্যায়। পরবর্তী অধ্যায় চলতি বছর বসন্তকালে একই স্থানে আয়োজিত হবে। পরে সম্পূর্ণ কাজটি নিয়ে একটি ফিল্ম এবং প্রকাশনা তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে জানান কে বা কাহারার সদস্যরা।

ফায়েদাবাদ টু-লেট প্রদর্শনীতে কেমন সাড়া পেয়েছেন এমন প্রশ্নে আয়োজকরা বলেন, প্রদর্শনীর দর্শক হিসেবে ফায়েদাবাদ এলাকায় বসবাসকারী শিল্পানুরাগী প্রতিবেশীর পাশাপাশি ঢাকা শহরের শিল্প সমাজের অনেককে পেয়ে আমরা ধন্য। সময় তারা আরো বলেন, অনেকের সাহায্য সহযোগিতায় নতুন শিল্পকর্ম তৈরি এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। সুইস আর্টস কাউন্সিলের প্রো হেলভেশিয়ার পাশাপাশি আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু শব্দ প্রকৌশলী কামরুল হাসান মারুফকে।

এক নজরে কে বা কাহারা

সম্মিলিতভাবে দেশের সমসাময়িক আধুনিক শিল্পচর্চা অনুসরণের আগ্রহের জায়গা থেকে ২০১৯ সালে গঠিত হয় কে বা কাহারা সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা, পড়াশোনা গবেষণার মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক কর্মসূচি অন্বেষণ করেন তারা।

গত বছরের জুনে সুইজারল্যান্ডের সুইস আর্টস কাউন্সিল প্রো হেলভেশিয়া নাউ অন শীর্ষক সাংস্কৃতিক বৃত্তির জন্য দক্ষিণ এশিয়া পার্শ্ববর্তী মোট আটটি দেশের শিল্পী, লেখক, গবেষক সংস্কৃতিকর্মীদের থেকে আবেদনপত্রের আহ্বান জানানো হয় এবং ১০০টির অধিক আবেদন থেকে বাছাই করে মোট আট আবেদনকারীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। ভারতে ছয়টি, শ্রীলংকার একটি এবং বাংলাদেশের একটি। দেশ থেকে কিউরেটরিয়াল কোলাবোরেশন অ্যাজ মেথড প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার সুযোগ পায় কে বা কাহারা কিউরেটরিয়াল কালেক্টিভ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন