সিডনিতে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় ম্যাচ বাঁচাল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক

চতুর্থ ইনিংসে ৪০৭ রান বা তার বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ড হাতে গোনা। এমনকি যথেষ্ট পরিমাণ ওভার ও উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ বাঁচানোও রীতিমতো দুঃসাধ্য। কিন্তু এমন কোন একটি দিন মাঝে মাঝে যখন সেই অসাধ্যই সাধন করে ক্রিকেটাররা। যেমনটা সিডনিতে করে দেখাল ভারত। প্রায় হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচ লড়াই করে বাঁচাল তারা। 

শেষ দিনে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ভারতকে করতে হতো ৩০৯ রান। বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু ৪ রান করা অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে দিনের শুরুতে ফিরে গেলে তখন কাজটি অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তখনো অনেক নাটকীয়তা জমিয়ে রেখেছিল সিডনি। বিপদগ্রস্ত দলকে উদ্ধারে প্রথম প্রতিরোধ আসে ভিন্ন মেজাজের দুই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। একদিকে চেতেশ্বর পুজারার ধৈর্যশীল ব্যাটিং, অন্যদিকে ঋষভ পান্তের আগ্রাসী উইলো। এই জুটিতে এক পর্যায়ে জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু ২৫০ রানের নাথান লায়নের বলে পান্ত (৯৭) ফিরে গেলে ফিকে হয়ে আসে ভারতের জয়ের স্বপ্ন, এমনকি তখন শঙ্কায় ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনাও। সেই শঙ্কার মেঘ আরো বাড়ে ২৭২ রানের মাথায় পুজারাকে জস হ্যাজলউড বোল্ড করে দিলে। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ২০৫ বলে ৭৭ রান করেন পুজারা। এ সময় ভারতের হার মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। যেখানে অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজাও চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে। পাশাপাশি হ্যামস্ট্রিংয়ের কারণে খেলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল হানুমা বিহারীরও। 

কিন্তু কে জানতো, টেস্ট ক্রিকেট এদিন তারা সেরাটা নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। যেখানে চোটাক্রান্ত বিহারী ও অশ্বিন অসি বোলারদের সামনে গড়ে তুললেন চীনের মহাপ্রাচীর। দুজন মিলে বাকি সময়টা কেবল নিরাশ করে গেছেন অসি বোলারদের। এমন নয় যে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ আসেনি। কিন্তু ক্যাচ মিস করে সেসব সুযোগ হাতছাড়া করেছে স্বাগতিক। যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দারুণ এক ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল ভারত। ১৬১ বল খেলে ২৩ রান করেন বিহারী, ১২৮ বলে ৩৯ রান করেন অশ্বিন। ৫ উইকেটে ভারত থামে ৩৩৪ রান করে। এই ম্যাচ বাঁচানোর জন্য ভারতকে ব্যাট করতে হয়েছে ১৩১ ওভার। 

ক্রিকবাজ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন