সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্ত কমেছে ১২ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা সপ্তাহের ব্যবধানে সাড়ে ১২ শতাংশ কমেছে। সময়ে মৃতের সংখ্যা কমেছে শতাংশ। এদিকে গতকাল নতুন করে ৬৯২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সময় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে ( জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত) রোগী শনাক্ত কমেছে ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সময় আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যু কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে সুস্থতা কমেছে ২৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর, ২৭টি জিন এক্সপার্ট, ৪০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ৯০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ৬৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জনে। গতকাল নতুন করে ২২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট হাজার ৭৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকালও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতাংশের নিচে ছিল। এদিন শনাক্তের হার ছিল দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সুস্থতার

হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যু হার দশমিক ৪৯ শতাংশ। গতকাল নতুন করে ৭৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে সুস্থতার সংখ্যা লাখ ৬৬ হাজার ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নতুন মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ২১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ষাটোর্ধ্ব, তিনজন ৫১ থেকে ৬০ এবং দুজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকিদের মধ্যে দুজন করে চারজন চট্টগ্রাম রাজশাহী বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারী আকারে সংক্রমণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন