২০২১ সাল হবে আইসিএবির জন্য অটোমেশনের বছর

বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পেশাদার হিসাববিদদের সংগঠন দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল হাসান খসরু সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেশের অর্থনীতি, হিসাব নিরীক্ষা পেশার সার্বিক অবস্থাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান রাহাত

বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯-এর কারণে অনেক ক্ষেত্রেই নিরীক্ষকের পক্ষে সশরীরে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এতে নিরীক্ষা পেশাকেও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিরীক্ষকরা কী ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন?

গত বছরের মার্চে দেশে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর কী করতে হবে তা বুঝে উঠতেই অনেক সময় লেগে যায়। জুনের পর সবকিছু আবার সীমিত পরিসরে চালু হতে থাকে। সে সময় ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি সশরীরে যাচাই কার্যক্রমও চলেছে। কভিডের সময়ে নিরীক্ষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি করতে গিয়ে আমাদের অনেক সহকর্মী কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ মারাও গেছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে কভিডের প্রভাবের বিষয়টি নিরীক্ষার সময় কীভাবে মূল্যায়ন করতে হবে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক যেসব গাইডলাইন ছিল, সেগুলো আমরা আইসিএবির সদস্যদের অবহিত করেছি। মহামারীর কারণে ব্যবসার ভবিষ্যৎ ধারাবাহিকতা থাকবে কিনা সেটি যাচাই করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিষয়ে আইসিএবির পাশাপাশি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) পক্ষ থেকে নিরীক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকাও সময় বেশ সহায়ক ছিল। বিশেষ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সশরীরে উপস্থিতির পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন করার নির্দেশনা জারি করে, যা বিদ্যমান বাস্তবতার নিরিখে যুগোপযোগী ছিল।

কাজের ধরনের কারণে নিরীক্ষকরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন। কভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা কেমন সেটি একজন নিরীক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে বলবেন কি?

কভিডের কারণে দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষ করে শ্রমঘন শিল্প যেমন তৈরি পোশাক খাতে কভিডের প্রভাব বেশ পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনকি অনেকেরই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতায়ও ঘাটতি ছিল। তবে এক্ষেত্রে সরকার ত্রাতার ভূমিকা রেখেছে। ব্যবসাবান্ধব বেশকিছু প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাটা সহজ হয়েছে। কারণে শিল্প খাতে আমরা বড় ধরনের চাকরিচ্যুতির ঘটনা দেখিনি। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যদিও তা কভিড-পূর্ববর্তী সময়ের অবস্থায় যেতে পারেনি এখনো। বছর দেশের অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্যে আরো প্রাণসঞ্চার হবে বলেই আমার ধারণা।

নিরীক্ষা পেশার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই।

পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসরা এখন আর শুধু প্রচলিত নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করছেন না। বর্তমানে তাদের ভূমিকা অনেক বৈচিত্র্যময়। ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সুশাসন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুশাসন পরিপালনের মতো গুরুদায়িত্বও সামলাচ্ছেন তারা। আবার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মধ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি নিরীক্ষক তৈরি করার কাজেও আইসিএবির মাধ্যমে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন তারা।

সম্প্রতি আইসিএবির উদ্যোগে ডুকমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) নামে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। জাল আর্থিক প্রতিবেদন রোধ করতে তৈরি করা ডাটাবেজ জালিয়াতি রোধে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখবে?

বর্তমানে আইসিএবির সনদপ্রাপ্ত দুই হাজার পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রয়েছেন। সব মিলিয়ে তারা বছরে ১৬ হাজার আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করেন। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা পড়ে ৩৫ হাজার। তাহলে বাকি ১৯ হাজার প্রতিবেদন কারা তৈরি করছে? ডিভিএস চালু হওয়ার কারণে এখন থেকে ধরনের জাল আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি জমা দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এনবিআর এফআরসির সঙ্গে ডিভিএস ব্যবহারের বিষয়ে আইসিএবির সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছোট একটি প্রযুক্তি পুরো আর্থিক খাতের চেহারাই বদলে দেবে।

এনবিআর এফআরসি ছাড়াও আর্থিক খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি আরজেএসসির মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। তাছাড়া ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের ক্ষেত্রেও আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। ফলে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে ডিভিএসের ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে কি?

আপনি যথার্থই বলেছেন। ডিভিএস ডাটাবেজ ব্যবহারের বিষয়ে সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা ডিভিএস ব্যবহারের ব্যাপারে আগ্রহী। এজন্য আমরা একটি টাস্কফোর্স করে দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। টাস্কফোর্সের সদস্যরা ডিভিএস ব্যবহারে বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ করবেন। তাছাড়া ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তৈরি করা প্রতিবেদনও জমা দেয়া হয়। ধরনের প্রতিবেদন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করার সুযোগ না থাকায় সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এজন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সেটির যথার্থতা ডিভিএসের মাধ্যমে যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এটি করা সম্ভব হলে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ব্যাপক হারে কমে যাবে।

আমরা অনেক সময় শুনে থাকি যে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ফলে তারা যদি এক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত অসত্য তথ্য সরবরাহ করে, তাহলে নিরীক্ষার সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের পক্ষে অনেক অসংগতি ধরা সম্ভব হয় না। বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

দেখুন, নিরীক্ষকরা কিন্তু একটি আন্তর্জাতিক নিরীক্ষামান (আইএসএ) এবং অডিট প্র্যাকটিস ম্যানুয়েল অনুসরণ করে কাজ করেন। এক্ষেত্রে তারা স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকির বিষয়টি পরিমাপ করেন। যেহেতু স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে কাজ করা হয় সেহেতু শতভাগ হয়তো নিরীক্ষকের চোখে ধরা পড়বে না। কিন্তু তাই বলে কিছুই ধরা পড়বে না সেটি তো হতে পারে না। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে আইএসএ অনুসারে নিরীক্ষক আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করছেন, তিনি কিন্তু চোর ধরার কাজ করছেন না। গুণগত নিরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইসিএবির কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগ (কিউএডি) নিরীক্ষা ফার্মগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে নিরীক্ষাচর্চা প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর। এজন্য আমরা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিরীক্ষাচর্চা প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে চাইছি। এতে নিরীক্ষার গুণগত মান বাড়বে। ২০২১ সালে আমরা চেকিং প্রসেস রিপোর্ট সাবমিশন অটোমেশন করতে চাই। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে স্বচ্ছতার দিকে নিয়ে যায় এবং আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করতে চাই।

আইসিএবির কিউএডি বিভাগের পর্যবেক্ষণ অনুসারে শীর্ষস্থানীয় কিছু ফার্ম বাদে অধিকাংশ ফার্মের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। এক্ষেত্রে ফার্মগুলোর মানোন্নয়নে আইসিএবির করণীয় কী?

আসলে কোয়ালিটির কোনো শেষ নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কিন্তু নিরীক্ষার ফার্মগুলোর বিষয়ে অনেক সময় অনেক অভিযোগ ওঠে। আমরা দেশে নিরীক্ষাচর্চার মানোন্নয়নে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। নিরীক্ষাচর্চার ক্ষেত্রে গুণগত মান আরো কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে আইসিএবির কিউএডি বিভাগে আরো বেশ কিছু যোগ্যতাসম্পন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে নিরীক্ষাচর্চার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভাগটির সক্ষমতা বাড়বে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ৩৬টি নিরীক্ষা ফার্মকে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে। তালিকার ১৪টি ফার্ম আবার বিএসইসির নিরীক্ষকদের প্যানেলে রয়েছে। ফলে তারা তালিকাভুক্ত ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করতে না পারলেও অন্য খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিবেদন নিরীক্ষা করতে পারবে। অযোগ্য ঘোষণা করা ফার্মগুলোর বিষয়ে আইসিএবির অবস্থান কী?

ফার্মগুলোকে কী কারণে বা কোন ধরনের ব্যত্যয়ের জন্য অযোগ্য করা হয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছে আইসিএবি। তবে আমি মনে করি ফার্মগুলোকে অযোগ্য ঘোষণা করার আগে কী কারণে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি তাকে অবহিত করে শুনানির মাধ্যমে তার বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন ছিল। কেউ ব্যত্যয় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তাকে তার অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে। যেহেতু এখন এফআরসি রয়েছে, তাই নিরীক্ষকদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিবর্তে এফআরসির কাছেই থাকা উচিত। তাহলে ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির উদ্ভব হবে না।

বিশ্বের অনেক দেশেই আইসিএবির মতো প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষা ফার্মগুলো অর্থনীতি ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে। আমাদের দেশে এটি নেই বললেই চলে। গবেষণার বিষয়ে আইসিএবির কোনো উদ্যোগ রয়েছে কি?

বছর আমরা আইসিএবির গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি অর্থনীতি, ব্যবসা আর্থিক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণার দিকটি দেখভাল করবে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে আপনারা ভালো কিছু দেখতে পাবেন।

আগামী দিনগুলোতে দেশের সার্বিক অর্থনীতি কেমন যাবে বলে মনে করছেন?

২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দেশের অর্থনীতি ভালো যাবে বলে আমি আশাবাদী। বছর আমাদের শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে বিশ্বব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছে। এটি আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরুণ। এক্ষেত্রে আমরা যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাচ্ছি, সেটি আমাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। সরকার যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতি আরো বেগবান হবে। এতে বিকেন্দ্রীকরণ হবে, যার সুফল সব অঞ্চলের মানুষ ভোগ করতে পারবে। অবকাঠামোসহ দক্ষ জনবল সরবরাহ করা সম্ভব হলে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য কারো কাছে আমাদের যেতে হবে না, এমনিতেই আসবে।

আইসিএবিকে আপনি কোন অবস্থানে নিয়ে যেতে চান?

২০২১ সাল হবে আইসিএবির জন্য অটোমেশনের বছর। আমার মেয়াদে আইসিএবিকে প্রযুক্তিবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব। মেধাবীদের পেশায় নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। সরকারসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পলিসি ডায়ালগসহ আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সর্বোপরি নিরীক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর বিষয়টি আমার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন