মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক জলবায়ু প্রশ্নে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী বছরের জন্য আরো কঠোর লক্ষ্য স্থির করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার জাতিসংঘের জলবায়ু লক্ষ্য সম্মেলনে হাজির হয়ে এ কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্স।
টিম কুক বলেন, আমরা গোটা বিশ্বের সরকার এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সেসব কাজ করতে আহ্বান জানাই, যা আগামী বছরকে চূড়ান্ত পরিবর্তনের বছরে পরিণত করবে। যদিও সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যের বিষয়ে কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, অ্যাপল সব কার্যক্রমে শতভাগ পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়; প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ৯৫ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে যেতে সহায়তা করছে। পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারে অ্যাপলের সহযোগিতা পায় গত জুলাইতেও এমন সরবরাহকারীর সংখ্যা ছিল ৭০। নিয়মিত এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে।
আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের শুরুতে জানিয়েছিল, তারা নিজেদের করপোরেট পরিচালন ব্যবস্থাকে কার্বন-নিরপেক্ষ করে তুলছে। ২০৩০ সাল নাগাদ নিজেদের সম্পূর্ণ সরবরাহ চেইন ও পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে কার্বন নিরপেক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকীতে আয়োজিত হয়েছিল জলবায়ু লক্ষ্য সম্মেলনটি। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপল সিইও টিম কুক ওই সময় এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আমাদের বিশ্বের প্রতি অন্যায় করা হলো।
জাতিসংঘের জলবায়ু লক্ষ্য ভার্চুয়াল সম্মেলনের সহআয়োজক ছিল যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এছাড়া অংশীদার আয়োজক হিসেবে ছিল ইতালি ও চিলি। বিশ্ব নেতারা এতে যার যার দেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগদান করেন।
বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন কিছু অঞ্চলের আবহাওয়ার সংকটময় অবস্থাকে আরো শোচনীয় করে তুলবে। বিশেষ করে, উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মোটামুটি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আরো বেশি হুমকির মুখে ফেলবে। এছাড়া এটা স্পষ্ট, ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ু সৃষ্টির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য অন্যতম।
