বাস মালিককে মারধরের প্রতিবাদে ঝালকাঠি-বরিশালসহ ১০ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে এসব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে কোনো ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিকল্প পরিবহনে যাতায়াত করেন।
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক এবং শ্রমিকরা জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা এলাকায় বাস মালিক গোলাম রসুল আঞ্চলিক মহাসড়কে মাহিন্দ্রা গাড়ি চলাচলে বাধা দেন। এ সময় ভাণ্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠিগামী একটি মাহিন্দ্র আটকে দিলে চালক সুরুজ খান ক্ষিপ্ত হন বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য গোলাম রসুলের ওপর। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাহিন্দ্রচালক সুরুজ খান, তার ভাই আরিফ খান, আশিক খান, আনিস খান, আল আমিন খান ও স্থানীয় রিনা বেগম মিলে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য গোলাম রসুল, স্টাফ মো. রাজু ও শ্রমিক মো. আবু হানিফ হাওলাদারকে মারধর করেন।
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য গোলাম রসুল বলেন, মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা ঝালকাঠিতে মানা হচ্ছে না। এখানে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে, যার কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ অবৈধ যানবাহন যাতে মহাসড়কে চলতে না পারে তার জন্য দুই প্রান্তে নিয়মিত চেক বসাই। কিন্তু তাতেও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বণিক বার্তাকে বলেন, বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে প্রশাসন অবগত। মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি, দ্রুতই এ সমস্যা সমাধান করে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।