পারমাণবিক ইস্যুতে কড়া অবস্থানে ইরানি সাংসদরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধি বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় স্তরের কাছাকাছি যেতে এবং পারমাণবিক কর্মসূচিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করতে একটি বিল পাস করা প্রয়োজন ছিল ইরান সরকারের। মঙ্গলবার সংসদে প্রথম বাধাটি অতিক্রম করেছে তারা। আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে এখনো আরো কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হবে। খবর রয়টার্স ও আরব নিউজ।

যদিও ইরান সরকার তাত্ক্ষণিক বলেছে, শুক্রবার দেশের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত এ পদক্ষেপ ইরানের পারমাণবিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

ইরানের সংবাদ সংস্থা আইআরএন বলেছে, ২৯০ আসনের চেম্বারে ২৫১ জনই পক্ষে ভোট দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় রেডিওতে প্রকাশিত একটি সেশনে প্রথম খসড়াটি পাঠের সময় অনেক সংসদ সদস্যকে ‘আমেরিকার মৃত্যু, ইসরায়েলের মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

এ বিলটি ইউরোপের দেশগুলোকে তিন মাস সময় দেবে ইরানের ওপর থেকে তেল ও গ্যাস খাতের নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সিস্টেমে ইরানের পুনঃপ্রবেশ ফিরিয়ে আনতেও। 

এর আগে সংসদে খুব বেশি সফলতা না পেলেও প্রায়ই দাবি উঠত পারমাণবিক ইস্যুতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য। বিলটি আগস্টে প্রথম আলোচনার টেবিলে উঠলেও ফাখরিজাদেহর মৃত্যুর পর নতুন করে গতি লাভ করেছে। 

তবে এক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে শুক্রবার পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার তীব্র প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য উন্নতির পথে থাকা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিনা সে বিষয়ে। বিশেষত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টিকেও এখানে বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। 

সরকারের মুখপাত্র আলি রাবেই বলেন, সরকার বিশ্বাস করে সংবিধানের অধীনে পারমাণবিক চুক্তি ও পারমাণবিক কর্মসূচি সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের আওতাধীন বিষয় এবং সংসদ নিজেই এটা মোকাবেলা করতে পারে না। 

একজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, ফাখরিজাদেহকে হত্যার ক্ষেত্রে তেহরান বিদেশভিত্তিক বিরোধী পক্ষকে সন্দেহ করছে, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত। যদিও বিরোধী পক্ষ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস অবশ্য হত্যার ব্যাপারে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইসরায়েলের কেবিনেট মন্ত্রী যাচাই হানেগবি বলেছেন, তিনি জানেন না এটা কারা করেছে। 

এ বিলটি অনুমোদনের জন্য এখনো দ্বিতীয় পাঠ এবং একটি আইনি বিভাগ দ্বারা যাচাই হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইরান এরই মধ্যে ২০১৫ সালে বিশ্বের অন্যান্য শক্তির সঙ্গে হওয়া চুক্তির নির্ধারিত সীমাগুলো লঙ্ঘন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন