৩০% শেয়ারধারণ পূরণ করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে কোম্পানি দুটি শেয়ারধারণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছে। এর বাইরে আরো ১৪ কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই সেসব কোম্পানিকে এ বছরের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে শেয়ার ধারণ পূরণ করতে হবে। কমিশনের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত বারাকা পাওয়ার, বে লিজিং, বিডি থাই, বিজিআইসি, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্মিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, এমারেল্ড অয়েল, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, নর্দান ইসলামী ইন্সুরেন্স, পিপলস ইন্সুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ও অলিম্পিক লিমিটেড ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছে।

অ্যাপোলো ইস্পাত শেয়ার ধারণের জন্য কমিশনের কাছে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। আফতাব অটো, এপেক্স ফুটওয়ার, ডেল্টা স্পিনিং এবং এফএএস ফাইন্যান্স শেয়ার ধারণের অগ্রগতির বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেছে। ফু-ওয়াং সিরামিক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ও তাল্লু স্পিনিং তাদের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। যদিও এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারধারণ এখনো ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে। ইউনাইটেডর এয়ারের শেয়ার ধারণের পরিমাণ এ সময়ে আরো কমেছে। নর্দান জুট আইনী জটিলতার বিষয়টি কমিশনের কাছে তুলে ধরেছে এবং ফার্মা এইডস এই মূহুর্তে শেয়ার ধারণ করার মত অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছে।

আর একটিভ ফাইন, অগ্নি সিস্টেমস, আল-হাজ্জ্ব টেক্সটাইল, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ফ্যামিলিটেক্স, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট, ইমাম বাটন, ইনটেক, ইনফরমেশস সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, মিথুন নিটিং, পিপলস লিজিং, সালভো কেমিক্যাল, সুরিদ ইন্ডাস্ট্রিজ এখনো পর্যন্ত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ পূরন করে নি এবং কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগও করে নি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।  এ বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে সেসব কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনের জন্য বিএসইসির ৭৫০ তম কমিশন সভায় একটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

এ বছরের ২৯ জুলাই বিএইসির পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই তাদের ৬০ দিনের মধ্যে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সেসময় জানিয়েছিল কমিশন। পরবর্তীতে কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারধারনের সময়সীমা আরো ৩০ দিন বাড়ায় বিএসইসি।

এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ৪৫ দিনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের আলটিমেটাম দিয়েছিল বিএসইসি। এ সময়ের মধ্যে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিল কমিশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করায় ১৭ পরিচালককে এরইমধ্যে তাদের পদ থেকে অপসারণ করেছে বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় তত্কালীন কমিশন। কিন্তু কমিশনের এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে কয়েকটি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা উচ্চ আদালতে রিট করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে কমিশনের অনুকূলে রায় আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন