বলিউডে একটু দাঁড়ানোর জায়গা পেতে অনেক সময় কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে কৈলাস খেরকে। ‘তেরি দিওয়ানি’
গানটির মাধ্যমে সাফল্য ধরা দেয় তার হাতে। এ সাফল্যের পরই তিনি ধীরে ধীরে নিয়মিত কাজ পাওয়া শুরু করেন। সম্প্রতি বলিউডে ১৫ বছর পার করলেন এ গায়ক। বলিউডে তার যাত্রাপথ আর ক্যারিয়ারের নানা উত্থান-পতন নিয়ে এক সাক্ষাত্কারে কথা বলেছেন কৈলাস খের।
ক্যারিয়ারের শুরুতে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন কৈলাস খের। এমনকি হতাশায় আত্মহত্যা করার কথায় ভেবেছিলেন। মুম্বাইয়ে পা রেখেছিলেন সংগীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। সোনু নিগাম ও শান তখন ভারতের সংগীত দুনিয়ায় ভালোই জায়গা করে নিয়েছেন।
‘তেরি দিওয়ানি’
গানটির সাফল্যের আগে সবখানেই প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছে কৈলাস খেরকে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন প্রত্যাখ্যাত হতে হতে তিনি একসময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
‘মুম্বাই এসে আমি অনেকবার অনেক জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। জীবন নিয়ে আমি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে মনে হচ্ছিল আত্মহত্যা করি।’
এরপর থেকে কৈলাস খেরের জীবনের মন্ত্র হয়ে ওঠে—‘জো টুট কার বানা, জিসে মওত নে জানা, ও অওর কেয়া টুটে, ও অওর কেয়া মরে (বারবার পরাজিত হতে হতে যে সফল হয় তাকে কেউ ভাঙতে পারে না)।
হতাশার মাঝে কোথা থেকে প্রেরণা পেয়েছিলেন কৈলাস? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সবকিছুই হারিয়েছিলাম, আমার আর হারানোর কিছু ছিল না। এটাই ছিল আমার প্রেরণা।’
কিছুদিন আগে বলিউডের খ্যাতিমান গায়ক সোনু নিগাম বলেছেন যে বলিউডে একজন গায়কের টিকে থাকাটা খুব কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন অভিনয় শিল্পে যদি মাফিয়া থাকে তাহলে তার চেয়ে বড় মাফিয়া আছে সংগীত জগতে।
‘তেরি দিওয়ানি’
গানটির পর কৈলাস খের ‘চান্দ সিফারিশ’,
‘ইয়া রাব্বা’,
‘ইউ হি চলা’,
‘আর্জিয়া’
গানগুলোর মধ্যে খ্যাতি পান। বাহুবলির জনপ্রিয় ‘কওন হ্যায় ও’
গানটিও তার গাওয়া।
সূত্র: ডিএনএ