প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসকে ট্রিমস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। প্রাথমিক আইপিও পরিকল্পনা অনুসারে তৈরি পোশাক ডিভিশনের জন্য মেশিন ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের পেছনে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭২ টাকা ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কোম্পানিটির। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোম্পানিটি এ অর্থ ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং ডিভিশনের জন্য মূলধনি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পেছনে ব্যয় করবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে কোম্পানিটিকে আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএমে) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এসকে ট্রিমসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৬ পয়সা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১৪ পয়সা বা ২১ দশমিক ২১ শতাংশ। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে এসকে ট্রিমসের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ৪৭ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৬৩টি শেয়ার। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৮ হাজার ১৩৭টি শেয়ার। তারা মোট ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ২০৬ টাকার নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
সমাপ্ত হিসাব বছরে এসকে ট্রিমসের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৮৮ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৬ নভেম্বর।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে, এসকে ট্রিমসের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ২৭ জুলাই পর্যন্ত হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং)।
২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল এসকে ট্রিমস। তার আগের হিসাব বছরে ২ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল এসকে ট্রিমস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৬২ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা ও ৭৬ টাকা ৪০ পয়সা।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশাধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
