পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি বিস্কুট উৎপাদনের জন্য ১ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের ক্র্যাকার ও হার্ড বিস্কুট লাইন আমদানি করবে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি প্যাকেজিং যন্ত্রপাতি, আটা ও চিনি হ্যান্ডলিং সিস্টেম এবং গ্যাস জেনারেটরও আমদানি করবে। এসব যন্ত্রপাতি ইতালি, চীন, হংকং ও ভারত থেকে আমদানির পাশাপাশি কিছু আইটেম স্থানীয় বাজার থেকেও সংগ্রহ করা হবে।
নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে কোম্পানিটি ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এর কিছু অংশ আসবে কোম্পানির নগদ অর্থ থেকে। আর কিছু অংশ আসবে ব্যাংকের অর্থায়নের মাধ্যমে।
নতুন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার ৪৪২ টন বিভিন্ন ধরনের ক্র্যাকার ও হার্ড ডগ বিস্কুট উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর বিদ্যমান ফ্যাসিলিটির পাশাপাশি নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির ফলে কোম্পানিটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৫৬ টন বিস্কুট ও বেকারি আইটেমে উন্নীত হবে।
এ পদক্ষেপ অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজকে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীল ও উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়বে।
এদিকে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিদেশী শেয়ারহোল্ডার কিংসওয়ে ফান্ড-ফ্রন্টিয়ার কনজিউমার ফ্র্যাঞ্চাইজেসের অনুরোধক্রমে তানভীর আলীকে মনোনীত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কিংসওয়ে ফান্ড অলিম্পিকের ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫২টি বা ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ টাকা ৮৮ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ৯ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৬ নভেম্বর।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
