ট্রেজারি বন্ডসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সিকিউরিটিজ যেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজে লেনদেন করা যায়, সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এতে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), সেন্ট্রাল
ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়।
ডিএসইর মতিঝিল কার্যালয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিডিবিএল, ডিএসই ও সিএসইর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ট্রেজারি বন্ডসহ সরকারি সিকিউরিটিজ যেন বিও অ্যাকাউন্টধারী সব বিনিয়োগকারী কেনাবেচা করতে পারেন, সেজন্য আইনি জটিলতা ও কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ডেট ম্যানেজমেন্ট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা সরকারি সিকিউরিটিজের বাজার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেন।
সরকারি সিকিউরিটিজগুলো অকশন ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের টিডব্লিউএস বা ওটিসি প্লাটফর্মের মাধ্যমে এতদিন এগুলো লেনদেন হয়ে আসছে। কিন্তু এ প্লাটফর্মে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারলেও এক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত জটিলতা রয়েছে, যার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তাছাড়া এ প্লাটফর্মে বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেশি নয় এবং অধিকাংশই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। তাই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচার সুযোগ দেয়া হলে লেনদেন বাড়বে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিটরির সঙ্গে সিডিবিএলের ডিপোজিটরির সংযোগ তৈরি করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সেটেলমেন্ট পিরিয়ডের সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের সেটেলমেন্ট পিরিয়ডের সমন্বয় করতে হবে বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএল মিলে এ বিষয়গুলো ঠিক করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।