দেশে ছয়দিন পর করোনা পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নেমেছে গতকাল। তবে এ সময় নতুন করে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৬ জন বেশি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ১১৮টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭১৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ এ সময় ১৪ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯। গতকালের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এদিকে গত শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যু হলেও গতকাল এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫৮০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও আটজন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের ২৩ জন ষাটোর্ধ্ব। এছাড়া ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজন করে তিনজনের বয়স ৪১-৫০, ২১-৩০ ও ১১-২০ বছরের মধ্যে। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩০ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে তিনজন খুলনা, একজন করে তিনজন চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ২০৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত মোট ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ জন সুস্থ হয়েছে। সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। আর দেশে প্রথম শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৪তম অবস্থানে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। গত ১১ মার্চ নভেল করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ রোগে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সাড়ে ১৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে।