সুনামগঞ্জে একসাথে ৪৭টি পৃথক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় ট্রাইবুন্যাল আদালত কাউকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাদী-বিবাদীকে (স্বামী-স্ত্রীকে) সহবস্থানে থেকে একত্রে বসবাস করার শর্তে আপস নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে এই মামলাগুলোর রায়ে এ আদেশ দেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায়।
মামলার বাদী-বিবাদীদের আপস নিষ্পত্তির অঙ্গিকারনামা পেয়ে আদালত একসঙ্গে দেওয়া রায়ে ৪৭ টি পৃথক মামলার ৯৮ জন বাদী-বিবাদী (স্বামী ও স্ত্রীকে) একত্রে মিলেমিশে সংসার করার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৫০ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আপসনামায় ৫০ জোড়া দম্পতি অঙ্গীকার করে বলেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার ধর্ম পালন করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবেন। স্বামী স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনও স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পারবেন।