দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান আর নেই। গতকাল সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে সিপিবির মুখপত্র সাপ্তাহিক একতায় সাংবাদিকতা শুরু করেন মুনীরুজ্জামান। ২০০৮ সালে বজলুর রহমানের মৃত্যুর পর সংবাদের সম্পাদক হন তিনি এবং এক যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে দৈনিক সংবাদের সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন মুনীরুজ্জামান। ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ নানা পেশাদার সংগঠনের সদস্যও।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, গণমাধ্যম জগতে সাংবাদিক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। এক শোকবার্তায় সংগঠনটির সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, সাংবাদিকতায় তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব ও বিজ্ঞ পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে এ সংগঠন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মুক্ত সাংবাদিকতার মতো বিষয়গুলোয় দৃঢ় অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রগতিশীল ধ্যানধারণা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মার্জিত মূল্যবোধের চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি আজীবনের দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধতার মাধ্যমে নৈতিক সাংবাদিকতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় উঠে এসেছিলেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারাও মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
গতকাল এক শোক বিবৃতিতে বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিককে হারাল। প্রগতিশীল ও মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে মুনীরুজ্জামান সমাজের শোষণের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তার অভাব সহজে পূরণ হওয়ার নয়।