৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭৫ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা বা ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩০ টাকা ২৬ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি প্লাস’
ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ফোর’। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৬ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২২৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪। এর মধ্যে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫২ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪ দশমিক ৮১, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৭ দশমিক ৯৯।