প্লাটিনামের ঘাটতি ১২ লাখ আউন্সে পৌঁছতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীর রেশ কাটিয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সরবরাহে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও প্লাটিনামের বিশ্ববাজার টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ঘাটতির মুখোমুখি হতে চলেছে। ওয়ার্ল্ড প্লাটিনাম ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সর্বশেষ প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরে মূল্যবান ধাতুর ঘাটতি ১২ লাখ আউন্সে পৌঁছতে পারে। খবর মাইনিংডটকম।

গাড়ি নির্মাণ শিল্পে প্লাটিনামের চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরও প্লাটিনামে আগ্রহ বেড়েছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান ধাতুটির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ধাতুটির ৭০ হাজার ৯০০ আউন্স ঘাটতি ছিল। যদিও প্রান্তিকে মূল্যবান ধাতুটির সরবরাহ চাহিদা উভয়ই দৃঢ় পুনরুদ্ধার হয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় সরবরাহ চাহিদা যথাক্রমে ৪৮ শতাংশ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্লাটিনামের সরবরাহ শতাংশ কম ছিল। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় সরবরাহ ৩৬ শতাংশ কম ছিল।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিভিন্ন দেশে খনির কার্যক্রম বন্ধ থাকা কনভার্টার প্লান্ট আইটেজের ফলে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে মোট খনি সরবরাহ ২১ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

বিনিময় ব্যবসা তহবিল, বার মুদ্রার জন্য বছরের পর বছর ধরে প্লাটিনামের চাহিদা উল্লেখযোগ্য বেড়ে সর্বশেষ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯১ শতাংশ বেড়েছে।

কভিড-১৯ মহামারী কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং ইউরোপ অন্যান্য দেশগুলোয় প্রণোদনা দেয়ায় বিশ্বজুড়ে মোটরগাড়ি উৎপাদন বেড়েছে। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে মোটরগাড়ি খাতে প্লাটিনামের চাহিদা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র শতাংশ কম ছিল। আর মোটরগাড়ির উৎপাদন বাড়ায় ২০২১ সালে প্লাটিনামের চাহিদা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

মহামারী-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় জুয়েলারি খাতেও আগের প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে প্লাটিনামের চাহিদা ২৭ শতাংশ বেড়েছিল। আগামী বছরও বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন