বেলকুচি আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষে আহত ১০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভা শুরু হলে বর্ধিত সভা আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বেলকুচি মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থক বর্তমান মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বেলা ১১টায় বর্ধিত সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকেই বেলকুচির পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভার দিকে যাচ্ছিল। সময় বেলকুচি পৌর মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থকরা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। সময় আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থকদের কথাকাটাকাটি এবং একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

বিষয়ে বর্তমান মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বর্ধিত সভায় যোগদান করতে কার্যালয়ের কাছাকাছি এলে সাজ্জাদুল হক রেজা গ্রুপের লোকজন আমার নেতাকর্মীদের ওপর ঢিল ছুড়তে থাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায় তারা হামলা চালিয়ে আমার সাত কর্মীকে আহত করেন।

বেলকুচি উপজেলার সাবেক আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা জানান, আমি আসন্ন বেলকুচি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। এর জের ধরে মেয়র আশানুর বিশ্বাসের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।

বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, দুপক্ষের মাঝে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ছয় রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন