
বিস্তৃতভাবে ব্যবহূত যক্ষ্মার ভ্যাকসিন কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে বলে জানিয়েছে সিডারস-সিনাইয়ের নতুন একটি গবেষণা। পর্যবেক্ষণগুলো বলছে, ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং রোগের তীব্রতা হ্রাস করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বাসিলিস ক্যালমেটে-গুয়েরিন (বিসিজি) নামক ভ্যাকসিনটি বিকশিত হয় ১৯০৮ ও ১৯২১-এর মাঝামাঝিতে। প্রতি বছর ১০০ মিলিয়নের বেশি শিশুকে এ ভ্যাকসিনটি দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ব্লাডার ক্যানসারের জন্য এটি এফডিএ স্বীকৃত ওষুধ এবং যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকাদের জন্য এটি ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহূত হয়। বিশ্বব্যাপী একাধিক ট্রায়ালে বর্তমানে কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিজিসি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
নতুন গবেষণাটি ‘দ্য জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন’-এ গত ১৯ নভেম্বর অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। গবেষকরা সার্স-কোভ-২-এর অ্যান্টিবডির উপস্থিতি প্রমাণের জন্য ছয় হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মীর রক্ত পরীক্ষা করে দেখেছেন। পাশাপাশি তাদের মেডিকেল ও ভ্যাকসিনেশন ইতিহাসও জানতে চাওয়া হয়।
সেখানে দেখা যায়, যেসব কর্মী অতীতে বিসিজি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন (গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩০ শতাংশ) তাদের মাঝে সার্স-কোভ-২-এর অ্যান্টিবডি টেস্টে পজিটিভ আসার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
সিডারস-সিনাইয়ের পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের পরিচালক মোশে আদ্রিতি বলেন, বিসিজি গ্রুপের অ্যান্টিবডি স্তর কেন কম তার কারণ এখনো পরিষ্কার না। এমনটা হতে পারে যে বিসিজি ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা হয় কম অসুস্থ হয় যে কারণে তারা কম অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে কিংবা তারা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর সেলুলার ইমিউন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
মেডিকেল এক্সপ্রেস