ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি

দরিদ্র দেশগুলোকে ২১০ কোটি ডলারের অবকাশ সুবিধা দিয়েছে চীন

বণিক বার্তা ডেস্ক

জি২০ ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী উদীয়মান দেশগুলোকে মোট ২১০ কোটি ডলারের কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে চীন, যা পরিমাণের দিকে থেকে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর ফোরামটিতে সর্বোচ্চ। চীনের অর্থমন্ত্রী লিউ কুন গতকাল তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক স্থবিরতায় বিপাকে পড়েছে উদীয়মান দরিদ্র দেশগুলো। আগে থেকেই ঋণের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া এসব দেশকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আরো বেশি ঋণ সহায়তার আশ্রয় নিতে হয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর ঋণ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলো যেন মুহূর্তে জনস্বাস্থ্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে বেশি নজর দিতে পারে, সে লক্ষ্যে তাদের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জি২০ দেশগুলো। জোটটির ডেট সার্ভিস সাসপেনশন ইনিশিয়েটিভ (ডিএসএসআই) বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে চীন।

সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে লিউ জানান, চীনের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংক অব চায়না মিলে এরই মধ্যে ২৩টি দেশের ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এছাড়া চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

অবশ্য দরিদ্র দেশগুলোর কাছে চীনের যে পরিমাণ পাওনা রয়েছে, তার তুলনায় এই ২১০ কোটি ডলার খুবই সামান্য। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে জি২০ দেশগুলোর কাছ থেকে দরিদ্র অর্থনীতিগুলোর নেয়া ঋণের মোট পরিমাণ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যার ৬৩ শতাংশ পাওনা রয়েছে চীনের। অর্থাৎ চীনকে ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে দরিদ্র দেশগুলোকে।

২০২১ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোকে মোট হাজার ৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে, যার ৩৩ শতাংশের পাওনাদার চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংক অব চায়না। এছাড়া ১০ শতাংশ ঋণের পাওনাদার চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ জি২০ দেশগুলো বিশ্বের দরিদ্রতম অর্থনীতিগুলোকে (যার বেশির ভাগই আফ্রিকার) আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ঋণ অবকাশের সুবিধা দিয়েছে। সময়সীমা আরো ছয় মাস বাড়ানো যায় কিনা, সে বিষয়ে জোটটি আগামী এপ্রিলে সিদ্ধান্ত নেবে।

লিউ বলেছেন, উদীয়মান অর্থনীতি, বিশেষ করে যারা মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে, তাদের আরো বেশি আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন। এছাড়া চীনা কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দরিদ্র দেশগুলোর কাছে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন