মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রাথমিক উদ্যোগের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছিল জর্ডান। যদিও জর্ডান এখন লেবানন ও ইরানসহ ওই অঞ্চলের অন্যতম সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের ডাটাবেজ অনুসারে, গত দুই সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত বুধবার জর্ডানে ৭ হাজার ৯৩৩ জন কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মার্চের পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এমন বিস্তৃত সংক্রমণের পেছনে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আকাবার দুটি কারখানায় ১ হাজার ৯৮৩টি সংক্রমণকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির নীতি ও অনুশীলনবিষয়ক সহসভাপতি নাজানিন অ্যাশ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপই কেবল ধ্বংসাত্মক দ্বিতীয় ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি। ক্ষুধা, অর্থনৈতিক সংকট, পঙ্গু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অবকাঠামো নিয়ে অবর্ণনীয় সমস্যার মোকাবেলা করা দেশগুলোও দ্বিতীয় ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে।
দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জর্ডানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছাড়াও তাদের জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি সিরিয়ার শরণার্থীদেরও সহায়তা করতে হবে। মার্চে আশপাশের দেশগুলোতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। লকডাউনের আওতায় বাড়ি থেকে বের হওয়া ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সীমানা ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপর মে মাসে এসে জর্ডান বেশির ভাগ বিধিনিষেধ শিথিল করে।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৬ জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছে এবং এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস
