প্রতিরোধক্ষমতা অনুমানের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে অন্যতম অনিশ্চয়তার একটি হলো ভাইরাসটির প্রতিরোধক্ষমতা কত দিন স্থায়ী হতে পারে? প্রাথমিক কিছু গবেষণায় বলা হয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। তবে নতুন একটি সমীক্ষা বলছে, কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশক পর্যন্ত প্রতিরোধক্ষমতা থাকতে পারে। প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে আশাবাদী ফলাফল। 

গবেষণাটি বলছে, সংক্রমণের আট মাস পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার হওয়া লোকদের শরীরে এখনো ভাইরাস ও অসুস্থতা প্রতিরোধ করার মতো পর্যাপ্ত প্রতিরোধক কোষ পাওয়া গেছে। স্বল্পমেয়াদে ধীরে ধীরে হ্রাসের পর এ কোষগুলো অনেক দিন ধরে শরীরে স্থির থাকতে পারে।

অনলাইনে প্রকাশিত এ গবেষণা এখনো পিয়ার রিভিউ কিংবা বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। তবে এটা করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ মেমোরি নিয়ে সর্বাধিক বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি অধ্যয়ন। 

গবেষণাটির সহ-নেতৃত্ব দেয়া ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজিস্ট শেন ক্রোটি বলেন, এই পরিমাণ প্রতিরোধক্ষমতা সম্ভবত বহু বছর ধরে বেশির ভাগ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি ও মারাত্মক উপসর্গ থেকে রক্ষা করতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভাইরাসের প্রতিরোধক্ষমতা স্বল্পকালীন হতে পারে এবং মহামারীটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্যাকসিনগুলো বারবার প্রয়োগ করতে হতে পারে। অন্য একটি করোনাভাইরাস সার্স নিয়ে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রোগটি থেকে পুনরুদ্ধার হওয়ার ১৭ বছর পরেও তাদের শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধক কোষ রয়েছে।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট আকিকো ইওয়াসাকি বলেন, শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধক্ষমতা থাকা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটাই তো হওয়ার কথা। তবুও এটা আকর্ষণীয় খবর। 

নিউইয়র্ক টাইমস


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন