গত মাসে জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে দ্বিতীয় দফায় জেতার পর বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানালেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে বিয়ের কথা জানালেও এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স।
এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার জেসিন্ডা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা এখনো কিছুটা দূরে। পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নেয়ার আগে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভাগাভাগি করে নেয়া দরকার।
৪০ বছর বয়সী আরডার্ন ৪৪ বছর বয়সী টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে বাগদান করে রেখেছেন। এই দম্পতির দুবছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাফল্য, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর হাতাহতদের পাশা থাকাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আরডার্ন দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা এর আগে বলেছিলেন তিনি ও গেফোর্ড সাধারণ নির্বাচনের আগে বিয়ে করবেন না। আর নির্বাচনের পর আজ সুযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা তার বিয়ের খবর জানতে চান।
নিউ প্লাইমাউথ মিডিয়া স্ট্যান্ড আপে হাসি মুখে আরডার্ন বলেন, হ্যাঁ, আজ আমি আপনাদের বলতে পারি আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে সেটা খুব কাছে নয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালের একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরডার্ন ও গেফোর্ডের প্রথম দেখা হয়েছিল। এরপর প্রেম থেকে পরিণয়, ২০১৮ সালের জুনে জেসিন্ডা প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। পরে তিনি শিশুসহ নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্বের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থেকে মা হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা ছিল এটা। প্রথম জন ছিলেন পাকিস্তানের দু’বারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।