
১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের বৈঠকে এ মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। আজ মামলাটি দায়ের করা হতে পারে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করবেন। মামলায় এমপি পাপুল, তার স্ত্রী কাজী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে আসামি করা হবে।
দুদকের অনুসন্ধানে এমপি পাপুলের শ্যালিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া পাপুলসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, তিনি কুয়েতে মানব পাচার করে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। হুন্ডি ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বিদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।