বিএসএমএমইউকে আইসোলেশন ক্যানোপি দিল বেক্সিমকো ফার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্যকর্মীদের নেগেটিভ প্রেসার আইসোলেশন ক্যানোপি দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা। সম্প্রতি হাসপাতালের করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষায় এসব উপকরণ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক . খোন্দকার সিদ্দিক--রব্বানীর নেতৃত্বে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি গবেষণা দল দেশে এই প্রথম আইসোলেশন ক্যানোপি তৈরি করেছেন। বিএসএমএমইউর অ্যানেস্থেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া নিবিড় পরিচর্যা মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক একেএম আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল ক্যানোপির ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে কাজ করেছেন। এছাড়া এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাইবিট লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়াররাও প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। গবেষণা প্রকল্পটিতে বেক্সিমকো ফার্মা সুইডেনের আপ্পসালা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থায়ন করেছে। গত জুলাইয়ে আইসোলেশন ক্যানোপির প্রথম প্রোটোটাইপ বিএসএমএমইউতে প্রদর্শন করা হয়েছিল। বিএসএমএমইউর আইসোলেশন ক্যানোপিগুলো তৈরিতে বেক্সিমকো ফার্মা সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

অধ্যাপক রব্বানী বলেন, কভিড-১৯ অত্যন্ত সংক্রামকপ্রবণ ভাইরাস। ফলে হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগী, চিকিৎসক নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত নেগেটিভ প্রেসার আইসোলেশন ক্যানোপি রোগীদের, বিশেষ করে হাসপাতালের আইসিইউতে যারা আছেন, তাদের সংক্রমণে ঝুঁকি কমাতে কাজ করবে।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান প্রকল্পে উৎসাহ এবং সহযোগিতা দিয়েছেন এবং মহামারীতে গবেষকরা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেছেন। এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীও প্রকল্প নিয়ে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন।

বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার সময় চিকিৎসক নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মী ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে গবেষকদের উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন