
কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে যেই উত্তরণের পথে ফিরতে শুরু করেছিল ফরাসি অর্থনীতি, ঠিক তখনই এল করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা। এ অবস্থায় দেশটির অর্থনীতিতে ফের স্থবিরতা নেমে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোয় ফ্রান্সের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রত্যাশাও কিছুটা ফিকে হতে শুরু করেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
মহামারীর দ্বিতীয় জোয়ার মোকাবেলায় ফের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে ফ্রান্সে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি আবার থমকে যাওয়ার উপক্রম। এ কারণে সরকার আগামী বছরের জন্য তাদের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য হবে। ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাত্কারে দেশটির অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মেয়ার বলেছেন, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তিনি ২০২১ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে একটি পূর্বাভাস উপস্থাপন করবেন। সরকারের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আগামী বছর জিডিপিতে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
সাক্ষাত্কারে লে মেয়ার বলেন, বেশ কয়েকটি খাতের ওপর করোনা মহামারীর বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ সংকট আরো দীর্ঘ সময় থাকবে।
নতুন দফায় লকডাউন আরোপের এক সপ্তাহ পরেও ফ্রান্সে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। সংকটাপন্ন রোগীদের সেবা দিতে সেখানকার হাসপাতালগুলোকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে এবারের লকডাউন আগেরবারের মতো ততটা কঠোর নয়। সরকার আশা করছে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্যে দেশটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংকট-পূর্ব সময়ের ৮৫ শতাংশে অবস্থান করবে। প্রথম দফার লকডাউনের মধ্যে এ হার ছিল ৭০ শতাংশ।
লে মেয়ার বলেছেন, গ্রীষ্মে ফ্রান্সে শিল্পোৎপাদন ও কর্মসংস্থান তৈরিতে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে ফরাসি অর্থনীতির যেকোনো ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি বেশ শক্তিশালী।’