নবগঠিত সিলেট সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠার আরেকটি ধাপ হিসেবে গতকাল চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ১৭ পদাতিক ডিভিশন, সিলেট সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি।
অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল মুহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার মেজর জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৭৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, ২ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এবং অর্ডন্যান্স ডিপো, সিলেটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা। ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও সিলেট অঞ্চলের চারটি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো।
সেনাবাহিনী প্রধান তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার একক নেতৃত্বে সূচিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
ওই অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। —আইএসপিআর