কর্মশালায় বক্তারা

অর্থনৈতিক উন্নয়নে টেকসই সড়ক নির্মাণের বিকল্প নেই

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে গ্রামীণ যোগাযোগ সরাসরি সম্পৃক্ত। দেশে এলজিইডির আওতাভুক্ত বিভিন্ন শ্রেণীর মোট লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক আছে। বর্তমানে প্রায় লাখ ২৮ হাজার ৫২৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক প্রধানত গ্রোথসেন্টার বাজার, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, খামার, আর্থিক, শিক্ষা, সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং পল্লীসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় যাতায়াত সুগম করেছে। ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সুবিধা, খামার পর্যায়ে কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা সম্ভব হয়েছে।

গতকাল এলজিইডি যশোর কার্যালয়ের আয়োজনে সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড় শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সংস্থাটির নিজস্ব সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ময়মনসিংহ বিভাগ) মো. নূর হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা বিভাগ) মো. মোখলেসুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মাননিয়ন্ত্রণ) মো. রেজাউল করিম, যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল বাছেদ এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। কর্মশালার আয়োজন সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা মো. ইফতেখার আলী।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক দেশের বর্তমান অগ্রসরমাণ অর্থনীতিকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে উন্নয়নকৃত গ্রামীণ পাকা সড়ক নেটওয়ার্কগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নির্মিত অবকাঠামোর স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে টেকসই সড়ক নির্মাণ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, যশোর জেলায় মোট হাজার ৭০৬ কিলোমিটার সড়ক আছে। এর মধ্যে হাজার ৫০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৯৪৫ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক হাজার ৭১১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের মধ্যে হাজার ২৬৯ কিলোমিটার সড়ক পাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন