সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা তরুণ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই খুব বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট বন্ধ করা জরুরি। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি বিদ্যমান অর্থ আইনে প্রদত্ত ই-সিগারেট আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয়া জরুরি।
গতকাল টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) উদ্যোগে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে ‘তরুণদের নেশায় আসক্ত করতে নতুন হুমকি ই-সিগারেট: বন্ধের উপায়’
শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারির সভাপত্বিতে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু। অনলাইন জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে যুক্ত হন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, হাসানুল হক ইনু, প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত, শিরিন আক্তার ও প্রফেসর মাসুদা রশিদ চৌধুরী। এছাড়া অংশ নেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার এমএ মালেক, নাটাবের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিয়ে স্পষ্ট কোনো আইন না থাকায় বাংলাদেশে ই-সিগারেট আমদানি ও বিক্রয় করা হচ্ছে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে। সিগারেট কোম্পানিগুলো ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর বলে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছে।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, এমপি বলেন, আমরা ই-সিগারেট বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে ককাস তৈরি করব। আমরা বিশ্বাস করি ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত তামাকমুক্ত দেশ বাস্তবায়ন করব।
শামসুল হক টুকু বলেন, ধূমপান মাদকের প্রবেশ দ্বার। আমাদের নতুন প্রজন্ম ই-সিগারেট নামে ক্ষতিকর পণ্যে আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই এর প্রসার রুখতে হবে। আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কীভাবে ই-সিগারেট আমদানি করা হচ্ছে, তা নির্ণয় করে আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রফেসর ডা. এমএইচ মিল্লাত বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করছে। আমরা সব সংসদ সদস্য ই-সিগারেট বন্ধে একমত। সরকারি-বেসরকারি সবাই মিলে ই-সিগারেটের প্রসার বন্ধে কাজ করতে হবে।
