আইএফসিকে অর্থমন্ত্রী

বন্ড ও ঋণ মার্কেট বিকাশে সহযোগিতার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) গত বছর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবার টাকা বন্ড চালু করতে সহযোগিতা করে। করোনার কারণে এটি কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেছে। আইএফসি আবার খাত সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি সুদের হার হ্রাস বাংলাদেশের ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বিশেষ করে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের জন্য আইএফসির কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

বিশ্বব্যাংক আইএমএফের বার্ষিক সভা ২০২০-এর অংশ হিসেবে মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আইএফসির চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিফানি ফন ফ্রিডবার্গের নেতৃত্বে আইএফসির প্রতিনিধি দলের মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন। ফ্রিডবার্গ এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফোনসো গার্সিয়া মোরা এবং বাংলাদেশ, ভুটান নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার আলোচনায় অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ২০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বন্ড জারি করতে আইএফসি সহায়তা করে। এছাড়া বিশ্বে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক ভিত্তিতে ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা (৯৫ লাখ মার্কিন ডলার) সমপরিমাণ বাংলাদেশী টাকা বন্ড চালু করা হয়েছিল। আগামী এক বছরে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন টাকা ( বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যমানের বন্ডে উন্নীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আইএফসি। করোনার কারণে এটি কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও আশা করা যায় এখন আবার আইএফসি খাত সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আইএফসিও আশ্বস্ত করে, বাংলাদেশের বিষয়গুলো অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে অব্যাহত সহযোগিতার মাধ্যমে সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইএফসির অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি কভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোকে বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়ার সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্যও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাস্তবসম্মত সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে আবার পুনরুদ্ধার করতে জিডিপির দশমিক শতাংশ বা প্রায় ১৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমাদের সরকার কভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী এবং বদ্ধপরিকর। টিকার জন্য বড় অংকের অর্থ সংস্থানের বিষয়টিও জড়িত। দেশীয় তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানকে টিকা তৈরির উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছে। টিকা আবিষ্কারের ছয় মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে টিকা প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকা প্রস্তুত করতে বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, আইএফসির খাতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন