ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তিন বছরে কর্মসংস্থান ১০ লাখ মার্কিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) গঠনের পর থেকে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন নাগরিকের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রথম ফোরাম গঠন করে। বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সক্রিয় ১২ হাজারের বেশি মার্কিন কোম্পানিকে সহায়তা দিয়েছে। শুধু ভারতে চলতি বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন দুই জায়ান্ট গুগল অ্যামাজন।

গত ২৮ ২৯ অক্টোবর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বার্ষিক আইপিবিএফ অনুষ্ঠানে তথ্য জানানো হয়। স্বাধীন, শক্তিশালী সমৃদ্ধ দেশগুলোকে নিয়ে একটি অবাধ মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ফ্যাক্ট শিটে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যান্য সংস্থার অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে ৭৬০ কোটি ডলার দিয়েছে। এতে গত দুই বছরে প্রায় ৫০ হাজার আমেরিকানের চাকরির সংস্থান হয়েছে।

ফ্যাক্ট শিটের তথ্য অনুযায়ী, দুই দিনব্যাপী ফোরামে এনার্জি এবং অবকাঠামো, ডিজিটাল ইকোনমি, মার্কেট ক্যানেক্টিভিটি, করোনার কারণে হুমকিতে পড়া স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, যুক্তরাষ্ট্র-ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ এবং বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা একই সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে বিশেষভাবে উঠে আসে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ভারতে চলতি বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় মার্কিন দুই জায়ান্ট গুগল অ্যামাজন। গুগল বাজার ধরতে চলতি বছরেই বিনিয়োগ করবে ১০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যামাজন ঘোষণা দেয় ছোট আকারে ডিজিটাল মার্কেট তৈরি করতে ভারতে তারা ডিজিটাল অপারেশনে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

তৃতীয় আইপিবিএফ আয়োজনে উচ্চ প্রভাব সৃষ্টিকারী বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ এবং বাজার প্রতিযোগিতায় সহায়তা দিতে সরকারি প্রয়াস, চাকরি বৃদ্ধি অঞ্চলের বৃহত্তর সমৃদ্ধির লক্ষ্যে উচ্চমানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস এবং জ্বালানিমন্ত্রী ড্যান ব্রুইলেট ফোরামে বক্তব্য রাখেন। ফোরামে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে হাজার ৬০০ ব্যবসায়ী সরকারি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত ফোরামে যোগ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন