নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। নদী খননের মাধ্যমে সারা দেশে নৌবাণিজ্য সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান হবে, বেকারত্ব দূর হবে ও কৃষিনির্ভর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজ হবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র ব্রিজসংলগ্ন স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের (শেরপুর জেলাধীন) ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার শতবছরের পুরনো নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারই ফলে সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারী দেশকে পিছিয়ে দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। দেশে কোনো গৃহহীন থাকবে না। নদী খননের কারণে যদি জনগণের কোনো ক্ষতি হয় তবে সরকার ক্ষতিপূরণে তার পাশে থাকবে। ক্ষতির তিন গুণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষে শপথ নিয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে অনুরোধ করেন। তিনি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ২২৭ কিলোমিটার নৌপথ খননকাজে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। এ খননের ফলে জামালপুর ও শেরপুর জেলার সঙ্গে নৌপথে বিভিন্ন জেলাসহ প্রতিবেশী দেশের নৌবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশে ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ থেকে জঙ্গলদী চর হয়ে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারে ৫৫ দশমিক ৭৮ লাখ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও ৪১ দশমিক ৮৪ লাখ ঘনমিটার মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ অক্টোবর ২০২০-এ শুরু হয়ে ২০২৪-এর জুনে শেষ হবে। ফলে সারা বছর পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে চলতে পারবে। কৃষিকাজে সেচ ও মৎস্য চাষে সহায়ক হবে।