অনুমোদনের অপেক্ষায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম

কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে ৫ হাজার শিক্ষার্থী

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

২০১৯ সালের এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু থেকে ভাড়া করা ভবন আর অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলে কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৩০ জন শিক্ষক যোগদান করেছেন। আধুনিক কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প পাস হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হাজার ১৬৮ জনবলসংবলিত একটি অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। অর্গানোগ্রামটি অনুমোদিত হলে সাতটি অনুষদের আওতাধীন ৫৩টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। এতে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা গবেষণার সুযোগ পাবেন।

অন্যদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার বিলতবলা এলাকায় হাজার ৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (ডিপিপি) তৈরিসহ প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ শেষ পর্যায়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর . মো. শহীদুর রহমান খান বলেন, গত দুই বছরে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন একাডেমিক প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি শিক্ষা কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় সংবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে -সংক্রান্ত সব নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন আবাসন সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে করোনাকালীন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন