ক্রিসমাসের আগেই ভ্যাকসিন অনুমোদন?

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রতিযোগিতা এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। আগামী ক্রিসমাসের মধ্যে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এদিকে গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিংহাম বলেছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে যুক্তরাজ্য ভালো অবস্থায় আছে। এর পরও আসছে দিনগুলোতে অনেকগুলো কঠিন বাধা পার করতে হবে।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকৃত অর্থে ভ্যাকসিন যে কাজ করে সে ফলাফল পাওয়া যাবে। একটি ভ্যাকসিনই পারে বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে মৃত্যুকে থামাতে এবং সামাজিক অর্থনৈতিক যে ধস তা রোধ করতে। পৃথিবীকে আবারো মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দিতে পরে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের সহায়ক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, এটি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না কিংবা হতে পারে ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োনটকের ভ্যাকসিন।

তিনটি দলই নিজেদের সর্বশেষ ধাপে হাজারো স্বেচ্ছাসেবীকে রিক্রুট করেছে দরকারি জটিল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য। নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের কোনো এক সময়ে, তাদের স্বাধীন পর্যবেক্ষণ বোর্ড গোপনীয় ডাটাগুলো নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখবে। যেখানে পরীক্ষামূলক ভ্যাকিসনগ্রহীতারা কভিড-১৯- আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা দেখা হবে। সব মিলিয়ে উত্তেজনাটা এখন বেশ স্পষ্ট।

বিংহাম বলেন, আমি এটাকে অবিশ্বাস্যভাবে সংবেদনশীল একটি বিষয় হিসেবে দেখি। যেখানে সবাই মরিয়া হয়ে আছে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। আমি মনে করি, আমার গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হচ্ছে আমরা খুবই ভালো অবস্থানে আছি। যুক্তরাজ্যের প্রস্তুতি খুব ভালো, আমাদের বেশ আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও আছে। সঠিক ভ্যাকসিনটি পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনাও বেশ ভালো এবং আমরা সংগঠিত। আমরা জানি যে কখন এটি আসবে।

যুক্তরাজ্যের ছয়টি ভ্যাকসিন এখন বিকাশমান আছে। যেখানে দুটি কোম্পানি সর্বশেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছেঅ্যাস্ট্রাজেনেকা ফাইজার। বিংহাম আরো বলেছেন, ক্রিসমাসের আগে ভ্যাকসিন বাজারে আসার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি গবেষকদের হাতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রদর্শন অনুমোদন লাভ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কেস থাকতে হবে। যদি এসব ঘটে তবে এটা সম্ভব যে ক্রিসমাসেই আমাদের কাছে ভ্যাকসিন থাকবে।  কিন্তু আমি এটাকে সামান্য সুযোগ বলতে চাই।

সর্বশেষ ধাপের ট্রায়ালে ৫০ হাজার মানুষকে রিক্রুট করা হয়েছে। যাদের অর্ধেককে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং বাকি অর্ধেককে অন্য কিছু দেয়া হয়েছে। এই ট্রায়ালটি পুরোপুরি অজানা। কার কী ছিল তা কেউ জানে না। ভ্যাকসিন বরাদ্দের কোডগুলো গোপন কম্পিউটার ফাইলে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, যতক্ষণ না ট্রায়ালে অংশ নেয়া পর্যাপ্ত পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এরপর স্বতন্ত্র গবেষকরা দেখবেন কোন ওষুধ তাদের ছিল।

তিনটি কোম্পানিই বলেছে, সংক্রমণের নমুনার আকার এখনো খুব ছোট হলেও তারা পরিসংখ্যানগুলো দেখতে শুরু করেছে। ফাইজারের সিইও আলবার্ট বরুলা অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। যদিও সে সময়সীমার মধ্যে ভ্যাকসিন আসেনি।

দ্য গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন