স্বল্পমেয়াদে বৈশ্বিক ঋণ সংকটের সম্ভাবনা নেই: এসঅ্যান্ডপি

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। বেসরকারি খাতে চাহিদাও পুনরুদ্ধারের পথে। কারণে স্বল্পমেয়াদে বৈশ্বিক ঋণ সংকট এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।

এসঅ্যান্ডপির গ্লোবাল হেড অব রিসার্চ আলেক্সান্দ্রা দিমিত্রিজেভিচ এক নোটে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কারণে জিডিপির বিপরীতে রেকর্ড ঋণ অনুপাতের দিকে এগোচ্ছি আমরা। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্বল্পমেয়াদে ঋণ সংকট তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এসঅ্যান্ডপি বলছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ কভিড-১৯ প্রতিষেধক সর্বস্তরে সহজলভ্য হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক উত্তরণের বিষয়টি এর ওপর নির্ভর করছে। এছাড়া যথাযথ মুদ্রানীতিও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

এসঅ্যান্ডপির হিসাব বলছে, চলতি বছর শেষে সারা বিশ্বে মোট ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশ বেড়ে ২০০ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বৈশ্বিক জিডিপির ২৬৫ শতাংশ। এসব ঋণের মধ্যে রয়েছে সরকারি, করপোরেট গৃহস্থালি ঋণ।

বিশ্বের কিছু অঞ্চলে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নতুন করে বেড়েছে। পুনরায় লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ফের শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এসঅ্যান্ডপি বলছে, সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধের কারণে করপোরেট শিল্প খাতগুলোর দুর্দশা স্বল্পমেয়াদে আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। কারণে প্রতিষ্ঠানটি খেলাপি ঋণের পরিমাণ এমন পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা করছে, যা গত দশকের বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার পর আর দেখা যায়নি।

দিমিত্রিজেভিচ বলেছেন, আমরা আশা করছি, আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতির উত্তরণ প্রক্রিয়া গতি পাবে। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় যে কোনো অনিশ্চয়তা নেই, তা নয়। কভিড-১৯ প্রতিষেধক সহজলভ্য হতে বিলম্ব হলে অথবা নতুন করে মহামারীর প্রকোপ বেড়ে গেলে অর্থনৈতিক উত্তরণ ভি আকৃতির না হয়ে ডব্লিউ আকৃতির হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন