অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে শেবাচিম হাসপাতালে ইন্টার্নরা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বরিশাল

অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিত্সকরা। 

আট শনিবার বেলা ২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তি রোগীরা। 

এর আগে মেডিসিন ইউনিট-৪-এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার দাবিতে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতি পত্র দেয়। 

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে কর্মবিরতির বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তারা গণমাধ্যমে আলাদাভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তিন দফা দাবি হলো, ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা ও হয়রানি বন্ধ, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচারের বিচার করা।

গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪-এর রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিত্সকদের সংগঠনের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিত্সকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

সবশেষ ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিত্সকদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিত্সকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইন্টার্ন চিকিত্সকরা ঘোষণা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে। 

এ বিষয়ে জানতে ডা. মাসুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সেলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু দুপক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড়শ ইন্টার্ন চিকিত্সক কর্মরত। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন