তিনদিন পরই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অথচ দেশটিতে কভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঝড় ক্রমেই
শক্তিশালী হয়ে উঠছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হলো। শুক্রবার
রেকর্ড ৯৪ হাজার মানুষের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করার তথ্য
জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ, বৃহস্পতিবার যা ছিল ৯১ হাজার। খবর বিবিসি।
জনস হপকিন্স
ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে,
সব মিলিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০ লাখে।
আগামী মঙ্গলবার
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জা বাইডেন। কিন্তু দেশটি
এই মুহূর্তে কভিড ঝড়ে লণ্ডভণ্ড। অন্তত ২১টি রাজ্যে প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ ধারণ
করেছে। এর মধ্যে মারাত্মকভাবে সংক্রমিত কিছু রাজ্য আবার জাতীয় নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
উঠতে পারে।
যুদ্ধক্ষেত্র
হিসেবে পরিচিত রাজ্য উইসকনসিনের গ্রিন বে হাসপাতাল সতর্ক করে দিয়েছে, ট্রাম্পের শুক্রবারের জনসমাবেশ
প্রাদুর্ভাবকে আরো খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। কয়েকটি হাসপাতাল এক যৌথ বিবৃতিতে
জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উইসকনসিনের
গ্রিন বে এলাকায় খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে কভিড-১৯,
কাজেই এ সময়
জনসমাগম এড়ানো যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
শুক্রবার
পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের আগে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, অধিক পরীক্ষা মানেই অধিক সংক্রমণ।
আমাদের আছে সেরা পরীক্ষা। মৃত্যু হার মানছে।
ট্রাম্পের
সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে সমর্থকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে প্রবেশ করানো
হয়েছে এবং মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক ছিল। মহামারীর কারণে অনুষ্ঠানও করা হয় আউটডোরে।
যদিও তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো সুযোগ ছিল না এবং কিছু কিছু সমর্থককে
মাস্কহীন দেখা গেছে।
বাইডেনও সবাবেশ
করে যাচ্ছেন,
যদিও
ডেমোক্র্যাটরা সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলার অনুশীলন করে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু মানুষ তাদের গাড়ির মধ্যে থেকেই
সমাবেশে অংশ নিয়েছে।
জনস হপকিন্স
ইউনিভার্সিটি বলছে,
কভিডে
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার মানুষের। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, এ মাসে তিনদিন প্রতিদিন এক হাজারের
বেশি মানুষ মারা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা উভয়ই বাড়তে থাকবে, কেননা ফ্লু মৌসুম আর কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব যুগপত্ভাবে এসেছে।